জীবন বহমান
আছে দুঃখ, আছে কষ্ট
আর আছে পার্সেল ফেরত আসা কিছু অতীত ।
তিক্ত রিক্ত..
ইদানীং পিন্টু ভাই ছ্যাঁকা খেয়ে আমার সাথে বেশি ভাব সাব করে বসছে।
পিন্টু ভাই হচ্ছে এলাকার বড়ো ভাই। আগে তেমন কথাবার্তা হতো না। একদিন দেখলাম হাতে সিগারেট আর চোখে জল নিয়ে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। অবস্থা বুঝে কথা বলতে গিয়ে বুঝতে পারলাম ছ্যাঁকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে গেছে।
কিছুক্ষণ কথা বলার পর পিন্টু ভাই বললেন,
- আসলেই তুমি একটা ভালো মানুষ। একটু আগে আমি কাঁদছিলাম আর এখন হাসতেছি।
এরপর থেকে আমাদের রেগুলার কথা হতো। আগে পিন্টু ভাই ফেসবুক সম্পর্কে না বুঝলেও এখন আমার সাথে থাকতে থাকতে সবকিছুই বুঝে।
একটা মেয়ের ম্যাসেজ দেখে হুট করে মোবাইলটা পিন্টু ভাইয়ের হাত থেকে নিয়ে ফেললাম। অবশ্য আগে কোনো মেয়ে আমাকে ম্যাসেজ দিলে পিন্টু ভাই রিপ্লে দিতো।
এই টানাহ্যাঁচড়ে মোবাইল নিয়ে ফেলাটা পিন্টু ভাইয়ের খারাপ লাগছেও বটে।
লাগলে লাগুক। তাতে আমার কি!
আমারও তো মাঝে মধ্যে কথা বলতে ইচ্ছে করে।
আমার সামনেই মোচড় দিয়ে পিন্টু ভাই উঠে চলে গেলেন।
সকালবেলা পিন্টু ভাই মুখ গুমরে এসে বলল,
- আমারে একটা খুইলা দাও ফেসবুক আইডি।
পিন্টু ভাইয়ের হাবভাব দেখে বুঝলাম প্রচুর রেগে আছেন আমার উপর। দেরি না করে খুলে দিলাম। নাম দিলাম "পিন্টু মিঞা"। তার ও তো একটা শখ আহ্লাদ আছে।
পিন্টু ভাইয়ের অজান্তে একই সাথে আরেকটা একাউন্ট খুললাম। নাম দিলাম "উড়ন্ত পাখি"।
এখন আর পিন্টু ভাইয়ের সাথে তেমন কথা হয়না।
তবে "উড়ন্ত পাখি" আইডি থেকে রেগুলার কথা চলে। পিন্টু ভাইয়ের সেই কি চাপা মারা।
- আমাকে একসময় নায়ক হওয়ার জন্য ডাক দিছিলো। সিনেমা টিনেমা এগুলা খারাপ বলে তাদের ডাকে সাড়া দি নাই। অবশ্য কয়েকজন আমার বাসায় ও আসছিলো।
- তাই না কি!
- হ্যাঁ। আমাকে দেখে না কি নায়কের মতো লাগে।
- হুম।
যতো চাপাবাজী রয়েছে সবগুলো মারলো আমার "উড়ন্ত পাখি" আইডিটির সাথে।
একমাস হয়ে যাবার পর দেখা করার জন্য প্রচুর চাপ দিচ্ছিলো পিন্টু ভাই।
পিন্টু ভাইয়ের সাথে আর পেরে উঠতে না পেরে গতকাল রাতে শেষ কথা বললাম।
- তো টিয়া পাখি?
- হুম।
- ঠিকানা পাঠালাম যে ঐটাতে চলে আসবা আর কি।
- হুম।
দেরি না করে রাতেই একাউন্ট টা ডিলিট মেরে দিলাম।
দেখা করার কথা ছিলো দশটা।
ঘুম থেকে উঠলাম বিকেল চারটায়।
দোকানের দিকে গিয়ে দেখলাম আবার ঠিক একেই জায়গায় পিন্টু ভাই দাঁড়িয়ে আছে।
ঠিক একই স্টাইলে।
যেমনটা প্রথমদিন ছিলো।
হাতে সিগারেট,
চোখে জল।
~রম্য গল্প - পিন্টু মিঞার ছ্যাঁকা।
~লেখক - মোহাম্মদ নুরুল আজিম চয়ন।
জীবন বহমান
আছে দুঃখ, আছে কষ্ট
আর আছে পার্সেল ফেরত আসা কিছু অতীত ।
তিক্ত রিক্ত..
ঘুম ভাঙতেই রজত টের পেল ট্রেনটা স্টেশনে থেমেছে। বাইরে হকারদের চিঙ্কার, ব্যস্ত লোকজনের মালপত্র নিয়ে এদিক..
এক
রাজার ছেলে মােহনলাল স্বপন দেখে ঘুম থেকে উঠেছে, কৃষ্ণপুর রাজ্যের রাজকন্যা ময়নামতী যেন তাকে বিয়ে..
Subscribe our newsletter gor get notification about new updates, information discount, etc.
0 Comments Here
Authentication required
You must log in to post a comment.
Log in